রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:৪৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কোরবানির পশু প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সাতক্ষীরার খামারিরা। কালের খবর চট্টগ্রামের ইপিজেডে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন, ঘটনায় জড়িত মূল হোতাসহ ২জন গ্রেপ্তার। কালের খবর রাজধানী ঢাকা শহরে কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। কালের খবর সাতক্ষীরায় দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে ইয়াছিন আলীকে কুপিয়ে জখম। কালের খবর সাতক্ষীরার খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধের বালুভর্তি জিও বস্তায় ফাটল। কালের খবর শাহজাহান আবদালীর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি। কালের খবর নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আবাসন প্রকল্প নিচ্ছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। কালের খবর মাটিরাঙ্গার অপরাধ আখড়া রাজধানীর অভিজাত এলাকায় ( QD’S ) সিসা লাউঞ্জের নামে চলছে ব্ল্যাকমেইলসহ মাদক বাণিজ্য। কালের খবর গ্যাস সরকারি, বিল যাচ্ছে দালালের পকেটে
ফেনীর আবাসিক হোটেলগুলোতে বাড়ছে অসামাজিক কার্যকলাপ : প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা। কালের খবর

ফেনীর আবাসিক হোটেলগুলোতে বাড়ছে অসামাজিক কার্যকলাপ : প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা। কালের খবর

ফেনী প্রতিনিধি, কালের খবর :

ফেনীর আবাসিক হোটেলগুলোতে দিনের-পর-দিন প্রকাশ্য দিবালোকে প্রশাসনের নাকের ডগায় অসামাজিক কাজ চলতে থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে অভিযান নেই। ফলে বিষয়টি নিয়ে সুশীল সমাজের মধ্যে নানা-মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ফেনীর প্রায় প্রত্যেকটি আবাসিক হোটেলে যৌনকর্মী, কলগার্ল, প্রবাসীর স্ত্রী ও গৃহবধূদের আনাগোনা ও অবাধ বিচরণ। প্রকাশ্যে দিবালোকে হোটেলের সিঁড়ি দিয়ে উঠতে-নামতে দেখা যায় নারী ও খদ্দেরদের। করোনাভাইরাস এর মধ্যে দিয়েও এসব হোটেলে দেহ ব্যবসা থেমে নেই।

সমপ্রতিক সময়ে ছোট একটি ফেনী শহরের প্রতিটি অলি-গলিতে আবাসিক হোটেল গড়ে উঠেছে। অল্প পুঁজিতে নগদ এ ব্যবসায় নেমে পড়েছে কতিপয় বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষ। ফলে সমাজের নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিয়েছে। ইতিপূর্বে যেসব হোটেলে প্রশাসন অভিযান করে সিলগালা করেছিল, সেসব হোটেল আবারো নাম পাল্টিয়ে দেহ ব্যবসা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মহিপালের ইউনিক হোটেল এখন অনিক হোটেলে রূপ নিয়েছে। ২০১৬ সালের ১০ মে ফেনীর আবাসিক হোটেল ও বোর্ডিংয়ে অনৈতিক কর্মকা- ও মাদক সেবনের অভিযোগে ফেনীর চারটি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা অর্থদ- দিয়েছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই হোটেলগুলোর মধ্যে রয়েছে মহিপালের কিং বোর্ডিং, ইউনিক, আল করিম ও মিডনাইট আবাসিক হোটেল। দীর্ঘ চার বছর পেরিয়ে গেলেও ফেনী জেলা প্রশাসনের অভিযান না থাকায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

তৎকালীন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা অভিযান চালানোর সময় অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকায় কয়েক জোড়া কপোত-কপোতিকে আটক করে। পরে তাদের অভিভাবক ডেকে তাদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দে। তখন ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কের আল করিম আবাসিক হোটেলে মাদক সেবনের অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়। সেখানে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে কপোত-কপোতি কে আটক করে পরে হোটেলের মালিক কে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- করা হয়।

এছাড়া একই আবাসিক হোটেলে অভিযান পরিচালনা করে লাইসেন্স না থাকায় ২০ হাজার টাকা অর্থদ- করেছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত । দীর্ঘ চার বছর অতিবাহিত হওয়ার পর মহীপালের ইউনিক হোটেল পাল্টিয়ে এখন নাম দিয়েছে অনিক হোটেল সেই হোটেলে নিয়মিত যৌনকর্মী, প্রবাসী গৃহবধূ, আসা-যাওয়া করতে দেখা গেছে। বেশ কয়েকজন হোটেল মালিকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এসব হোটেলের মালিকরা উপর ম্যানেজ করে হোটেল ব্যবসা জমজমাট চালিয়ে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ করার শর্তে এক হোটেল ম্যানেজার জানান। প্রত্যেকটি হোটেল থেকে এক এক রকম মাসোহারার বিনিময়ে অনৈতিক কর্মকা- চলছে। ফলে পুলিশ বিষয়টি দেখেও দেখছে না। শুনেও শুনছে না। এ অনৈতিক কাজ থেকে নিস্তার পেতে ফেনীর সুশীল সমাজ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com